চট্টগ্রামে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সন্তানকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার অভিযোগে এক কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহার করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। একই সঙ্গে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, চট্ট-৩২ (১২৩ কেন্দ্র) কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজে একই বিষয়ে পরীক্ষা কক্ষে বিষয়ভিত্তিক পর্যবেক্ষক প্রদান করায় কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সহকারী কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মোকাম্মেল হোসেনকে নতুন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল বাসার এবং সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী আকবর। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। কেন্দ্র সচিব গিয়াস উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের-সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মর্যাদার এক কর্মকর্তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পড়ে নগরীর কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজে। পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে হওয়ায় ওই কেন্দ্র সচিব প্রতিদিনই ওই পরীক্ষার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতেন। বিশেষ করে কক্ষ পর্যবেক্ষক থাকতো বিষয়ভিত্তিক। যাতে ওই শিক্ষার্থী কক্ষ পর্যবেক্ষকের কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারতেন। এছাড়া পুলিশের একজন এসআই সার্বক্ষণিক ওই শিক্ষার্থীর তদারকির জন্য স্কুলে অবস্থান নিয়ে থাকতেন।কয়েকজন অভিভাবক গোপনে বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডকে অবহিত করে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ নারায়ন চন্দ্র নাথ গোপনে পরিদর্শনে এসে এর সত্যতা পান। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরই শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।