শর্ট লিস্টে ছালাম-সুজন, নাছির এবার অন্যসারিতে, আড়ালে আরও একজন! মেয়র মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, উত্তর মিলবে আজ।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ।
ভাগ্য নির্ধারণের শেষ দিনের লড়াইয়ে মেয়র নাছিরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই বাড়ছে। পরিবর্তনের আওয়াজ ক্রমেই শক্ত হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়, কারণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।কোনও কারণে ঘোষণা একদিন পিছিয়ে গেলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাচ্ছে আজ— এমনটিই জানিয়েছেন সরকারি দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।
শেষ মুহূর্তের আলোচনায় মেয়র নাছিরকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে শর্ট লিস্টের ৭ জন নেতাকে। লড়াইয়ে থাকা ৭ নেতা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী জহুর আহমেদ চৌধুরীর পুত্র ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু সহ সর্বশেষ নির্বাচন করার প্রত্যয়ে মাঠে আছেন হাসিনা মহিউদ্দীন।দীর্ঘদিনের ত্যাগ, রাজপথের সক্রিয় ভূমিকা ও অতীতে তেমনভাবে মূল্যায়িত না হওয়ার বিষয় পুঁজি করে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াইয়ে আছেন খোরশেদ আলম সুজন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখা সুজন চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ছিলেন কিংবদন্তী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী। সুজনের সবচেয়ে বড় বঞ্চনা হচ্ছে, তিন তিনবার তাকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দিয়ে আবার ফেরত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম সরকারের শীর্ষ মহলের সুনজরে আছেন।চট্টগ্রামের উন্নয়নের সব বিশেষ কর্মযজ্ঞে তার ওপরেই ভরসা রেখেছে সরকার। শীর্ষ পর্যায়ের এই সুনজর তাকে রাখছে সুবিধাজনক অবস্থানে। এর বাইরে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশাল একটা অংশের সমর্থন আব্দুচ ছালামের ঝুলিতে।
সিএনএন ক্রাইম নিউজ।