আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি, দেশকে মাদকমুক্ত করতে হলে মাদকের ডিমান্ড কমাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পতেঙ্গা র্যাব-৭ সদর দফতরে আয়োজিত মাদক ধ্বংস ও মাদকবিরোধী প্রচারণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকে ১০০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছি, ১ হাজার কোটি টাকার অন্যান্য মাদক উদ্ধার করেছি এবং ৪২ হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে আটক হওয়া এসব কোকেইন এসেছিল সাউথ আমেরিকার একটি দেশ থেকে। এসব কোকেইনের গন্তব্যস্থান বাংলাদেশ ছিল না, এটি বাংলাদেশ হয়ে সাউথ এশিয়ার আরেকটি দেশে যাচ্ছিল। কিন্তু আমরা তা থামিয়ে দিয়েছি। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেইন আটক হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী। কিন্তু তারা রক্ষা পায়নি। র্যাব তাদের গ্রেফতার করেছে। এ মামলা থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার কারণে তা পারেনি।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের অভিযানের পর মাদকের সহজলভ্যতা কমে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেটা করে তা হলো মাদকের সাপ্লাই কাট করে। কিন্তু দেশে এখন ৬০ লাখের মতো মাদকসেবী। মাদকের ডিমান্ড যদি থাকে তাহলে দেশকে মাদকমুক্ত করা যাবে না। মাদকের ডিমান্ড কমাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। মাদকের বিরুদ্ধে তোমাদের লড়তে হবে। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বিভিন্ন সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কমর্কর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, মো. হাবিবুর রহমান এমপি, মো. ফরিদুল হক খান এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান প্রমুখ।
CNNcrimenews.