চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং একাদশ সংসদের চারটি শূন্য আসনে ভোটের তারিখ ঠিক করতে এই সপ্তাহে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।
২১ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে ইসির ৫৮তম সভা হবে। মার্চ মাসে ভোট করার লক্ষ্যে ওই সভায় সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরবেন ইসি কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন মার্চ ২০২০ এ হতে পারে বলে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।তিনি বলেছেন, আমার ধারণা মার্চ মাস হবে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে রমজান আছে। মার্চ মাসে সম্ভবত পরীক্ষা বা অন্য কিছু নেই।
সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্চের মধ্যেই চারটি উপ নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে।গাইবান্ধা-৩ ( সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস আলী সরকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গত ২৭ ডিসেম্বর।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ২৯ ডিসেম্বর শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এরপর ১০ জানুয়ারি মারা যান বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মোজাম্মেল হোসেন।ইসি কর্মকর্তারা জানান, মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, আর এপ্রিলজুড়ে এইচএসসি পরীক্ষা- এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ভোটের তারিখ নির্ধারণে বসবে কমিশন।
২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটির সঙ্গে নির্বাচন হলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন পর্ষদের দায়িত্ব পালন পরে শুরু হয়েছিল। সেজন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৮০ দিন গণনা শুরু হবে। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল মান্নান মৃত্যুবরন করায় এই আসনটিও শূন্য হয়। ফলে সব মিলিয়ে চারটি উপ-নির্বাচন করতে হবে ইসিকে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়ে নগরবাসীর জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। কে হবেন নগরপিতা ? দায়িত্বশীল সূত্র বলছে চট্টগ্রামে এবার নগরপিতার লড়াইয়ে হেভীওয়েট প্রার্থী চারজন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ক্ষমতাসীন দলের। তবে দলীয় নীতি-নির্ধারনী ফোরাম যে সিদ্ধান্ত নিবেন তা সকলে মেনে নিয়ে দলের স্বার্থে কাজ করবেন।
CNNcrimenews.