আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ কেন্দ্রে ভোট ও সরস্বতী পূজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর কমিশন বলছে ভোট ও পূজা একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পালনে এসব কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উত্তর সিটিতে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের ৯৪টি কেন্দ্রের ৫৫৬টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৫ জন ভোটার ভোট দেবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ০৩ হাজার ৭৭৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭১ জন। এই সিটিতে তিনটি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৩২৫ জন নারী ও পুরুষ ভোটার একই সঙ্গে ভোট প্রদান করবেন। এরমধ্যে নারী ২ হাজার ৮৫২ জন আর পুরুষ ৩ হাজার ৪৩৭ জন। এই সিটিতে মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৩১৮টি।আর দক্ষিণ সিটিতে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৬টি কেন্দ্রের ৩৩০টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৮ জন ভোটার ভোট দেবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৫৪ হাজার ৭৩০ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬২ হাজার ৩৭৮ জন। এই সিটিতে ১৯ কেন্দ্রে ৬৪ হাজার ৩১৮ জন নারী ও পুরুষ ভোটার একই সঙ্গে ভোট প্রদান করবেন। এরমধ্যে নারী ২৩ হাজার ৩৭৩ জন আর পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৯৪৫ জন। এই সিটিতে মোট কেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পূজার কারণে ভোটের তারিখ পরিবর্তনে করা রিট আবেদন খারিজের পর নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। সেখানে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোট এবং পূজা একসঙ্গে যেসব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারও এ নিয়ে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সচিবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সিইসি। সেখানে ভোট ও পূজা একসঙ্গে হলে সেসব নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা। এসময় তাদের কাছ থেকে কতটি প্রতিষ্ঠানে এবং কতটি কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট ও পূজা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেয়া হয়। আর ভোটে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে বলেও নিশ্চিত করা হয়। এক্ষেত্রে সেসব কেন্দ্রে পূজায় আগতদের তল্লাশী করে প্রবেশ করানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কমিশন।
দুই সিটির নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও পূজা একসঙ্গে করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো। এ জন্য একই সঙ্গে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু ভোট এবং পূজা একই কেন্দ্রে এক সঙ্গে চলবে সেহেতু ভোটার এবং উৎসব পালনকারীদের যাতে কোন ধরনের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এখন পর্যন্ত আমরা কোন শঙ্কা দেখছি না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বলেন, পূজা ও ভোট একসঙ্গে হবে। এটি সাংঘর্ষিক হবে না। বলা আছে, পূজার রুম বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। এমনও বলা আছে যে এই স্কুলে পূজা করলে নির্বাচন করার জায়গায় নেই তাহলে সেই কেন্দ্রই বাদ দিয়ে দেবে এবং পাশে অন্য কোন কেন্দ্র দেখবে। তবে পূজায় কোন ডিস্টার্ব করা যাবে না।
CNNcrimenews.